Skip to main content

কুরআন ও হাদিসে খাবার গ্রহণের আদব-কায়দা

 ইসলামে খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে কিছু আদব-কায়দা রয়েছে। এই আদব-কায়দাগুলি মান্য করা হলে খাবার গ্রহণের মাধ্যমে শারীরিক ও আধ্যাত্মিক উভয়দিক থেকেই উপকারলাভ করা যায়।

কুরআনে খাবার গ্রহণের আদব-কায়দা:

কুরআনে খাবার গ্রহণের আদব-কায়দার ব্যাপারে কিছু নির্দেশনা রয়েছে। যেমন:

হালাল খাবার খাওয়া: আল্লাহ তায়ালা বলেন, "হে মুমিনগণ! তোমরা যেসব পবিত্র বস্তু আমি তোমাদেরকে দিয়েছি তা থেকে খাও এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।" (সূরা বাকারা, আয়াত ১৬৮)

খাবার গ্রহণের আগে বিসমিল্লাহ বলা: আল্লাহ তায়ালা বলেন, "যখন তোমরা খাবার খাও, তখন আল্লাহর নাম স্মরণ করো।" (সূরা আন'আম, আয়াত ১১৯)

খাবার গ্রহণের সময় ডান হাত ব্যবহার করা: আল্লাহ তায়ালা বলেন, "যখন তোমরা খাবার খাও অথবা পান করো, তখন ডান হাত দ্বারা করো।" (সূরা বাকারা, আয়াত ১৫৮)

খাবার গ্রহণের সময় অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া থেকে বিরত থাকা: আল্লাহ তায়ালা বলেন, "তোমরা খাও, পান করো এবং সীমা অতিক্রম করো না। নিশ্চয়ই তিনি সীমা অতিক্রমকারীদের পছন্দ করেন না।" (সূরা আরাফ, আয়াত ৩১)

হাদিসে খাবার গ্রহণের আদব-কায়দা:

হাদিসেও খাবার গ্রহণের আদব-কায়দার ব্যাপারে কিছু নির্দেশনা রয়েছে। যেমন:

খাবার গ্রহণের আগে হাত ধোয়া: হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যখন তোমরা খাবার খাও, তখন হাত ধোয়া।" (বুখারী, হাদিস নং ৫৩৯২)

খাবার খাওয়ার সময় কথা না বলা: হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যখন তোমাদের মধ্যে কেউ খাবার খায়, তখন সে যেন কথা না বলে। কেননা, সে যে কথা বলে, তখন তার খাবার তার গলায় আটকে যায়।" (তিরমিজি, হাদিস নং ১৮৫৭)

খাবার খাওয়ার সময় কাশি থেকে বিরত থাকা: হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যখন তোমাদের মধ্যে কেউ খাবার খায়, তখন সে যেন কাশি না দেয়। কেননা, সে যে কাশি দেয়, তখন তার খাবার তার গলায় আটকে যায়।" (তিরমিজি, হাদিস নং ১৮৫৮)

খাবার গ্রহণের সময় খাবারের অপচয় করা থেকে বিরত থাকা: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি খাবার খায় এবং তার খাবার অপচয় করে, সে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে দাঁড়াবে। তার খাবারের অপচয় তার সামনে এসে দাঁড়াবে।" (তিরমিজি, হাদিস নং ২৪৮৭)


কুরআন ও হাদিসে খাবার গ্রহণের আদব-কায়দার ব্যাপারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা রয়েছে। এই নির্দেশনাগুলি মান্য করা হলে খাবার গ্রহণের মাধ্যমে শারীরিক ও আধ্যাত্মিক উভয়দিক থেকেই উপকারলাভ করা যায়।

Comments

Popular posts from this blog

রেট কিং ( ইঁদুরের রাজা): একটি অদ্ভুত প্রাকৃতিক ঘটনা।

ইঁদুরের রাজা হল ইঁদুরের একটি সংগ্রহ যার লেজগুলি একে অপরের সাথে সংযুক্ত এবং একত্রে আবদ্ধ থাকে। এটি একটি বিরল প্রাকৃতিক ঘটনা যা কখনও কখনও ঘটে। ইঁদুরের রাজা গঠনের সঠিক কারণ অজানা। তবে, এটি বিশ্বাস করা হয় যে এটি ঘটে যখন ইঁদুরগুলি ঘন ঘন এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে বসবাস করে। এই পরিস্থিতিতে, ইঁদুরগুলি তাদের লেজগুলিকে আঠালো পদার্থ, চুল বা অন্যান্য উপাদানের সাথে আটকে ফেলতে পারে। ইঁদুরের রাজা সাধারণত মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। কারণ, তারা তাদের লেজ থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারে না এবং তাই তারা ক্ষুধার্ত বা অসুস্থ হয়ে মারা যায়। ইঁদুরের রাজাকে প্রায়শই ভাগ্য বা দুর্ভাগ্যের একটি লক্ষণ হিসাবে দেখা হয়। তবে, এটি কেবলমাত্র একটি প্রাকৃতিক ঘটনা যা ইঁদুরের আবাসস্থলের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে ঘটে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ: মানুষের জীবন ও সম্পদের হুমকি।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলো এমন একটি প্রাকৃতিক ঘটনা যা মানুষের জীবন ও সম্পদের ক্ষতি করে। এটি একটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ঘটনা, তবে অনেক ক্ষেত্রে মানুষের কাজ-কর্মের প্রভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় এরকম ঘটনা ঘটে থাকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিভিন্ন ধরন রয়েছে, যেমন: ভূমিকম্প ভূমিধস আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত বন্যা ঘূর্ণিঝড় টর্নেডো তুষারঝড় সুনামি দাবানল প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এতে মানুষের প্রাণহানি, আহত, সম্পত্তি ক্ষতি, জীবিকা ও পরিষেবার ক্ষতি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যাঘাত, বা পরিবেশগত ক্ষতিহতে পারে।